কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরি করার জন্য কর্মক্ষেত্রে যে ড্রইং ব্যবহার করা হয় ভাই ওয়ার্কিং ড্রইং। মেকানিক্যাল ওয়ার্কিং ড্রইং বলতে আমরা বুঝি মেকানিক্যালের সাথে সম্পর্কিত সকল প্রকার ড্রইং আমরা এই অধ্যায়ে মেকানিক্যাল ড্রইং এর সম্পর্কে জানতে পারবো।
মেকানিক্যাল ড্রইং বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। যেমনঃ ওয়েন্ডিং ড্রইং, সারফেস ড্রইং, প্লাস্টিক ড্রইং, সলিড ড্রইং ইত্যাদি। এই সকল ড্রইং করার জন্য এবং ড্রইং অনুযায়ী কাজ করার জন্য যে বিষয়গুলি জানা দরকার সেই সকল তথ্য আমরা এই অধ্যায়ে জানার চেষ্টা করবো।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-
দৈনন্দিন কর্মকান্ডে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা প্রায়ই ঝুঁকির সম্মুখীন হই। কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। আর আঘাত প্রাপ্তির ঘটনা যে কোন সময় যে কোন অবস্থাতেই ঘটতে পারে এবং একে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে না পারলেও যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কমিয়ে আনা যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বেশীরভাগ দূর্ঘটনারই কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা, অবহেলা এবং অসতর্কতা। ছোট বড় সকল আঘাতকেই সমান গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে কারণ আজকের ছোট সমস্যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যার আকার ধারণ করতে পারে। যেকোন কর্মকাণ্ডে একজন ব্যক্তির নিরাপত্তার (Safety) ব্যাপারে যেমন সবাই সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে থাকে। তেমনিভাবে কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রয়েছে।
নিম্নলিখিত নিরাপত্তা বিধি ঠিক থাকলে অনেকাংশে দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
১. অগ্নি নিরাপত্তা (Fire Safety );
২. ভূমিকম্প নিরাপত্তা (Earthquake Safety);
৩. বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা (Electrical Safety);
৪. ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত নিরাপত্তা (Personal / Collective Safety );
৫. মেশিন চালনার নিরাপত্তা (Mechanical Safety );
৬. পরিবেশগত নিরাপত্তা (Environmental Safety);
নিরাপত্তায় প্রয়োজনীও কিছু সরঞ্জাম বা পিপিই নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো ।
সুরক্ষা জুতাঃ পা কে সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহৃত আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ আচ্ছাদনই হলো সুরক্ষা জুতা।
বিভিন্ন প্রকার সুরক্ষা জুতা রয়েছে। যেমনঃ
১। অ্যান্টি স্ট্যাটিক জুতা এবং অপরিবাহী জুতা ।
২। অন্তরোধ জুতা (বুট)।
৩। অ্যাসিড প্রুফ জুভা ।
৪। মরিচা প্রতিরোধী জুতা।
৫। অয়েল প্রুফ জুতা।
গগলসঃ চোখকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে গগলস ব্যবহৃত হয়।
হ্যান্ড গ্লোভসঃ হাতকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহৃত হয়।
এ্যাপ্রোনঃ শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করতে এপ্রোন ব্যবহার করা হয়।
মাস্কঃ ধুলা-বালি ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবাণু রোধে মাস্ক ব্যবহৃত হয় ।
রিভেট হল এক ধরনের ধাতব রড বা দত্ত, একাধিক বস্তুর সংযোগস্থল জোড়া দিতে ব্যবহার করা হয়। যার শীর্ষে রয়েছে একটি বিশেষ সাখা, যা সাধারণত গোলাকার হয় (তবে বিভিন্ন আকারেও তৈরি করা যায়)। এর বিশেষত্ব হলো এটি একবার লাগানো হলে তাহা পরবর্তিতে আর খোলা যায় না। তাই এটিকে স্থায়ী বন্ধনী বলে।
উদাহরন স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, রেল লাইন এর বিভিন্ন রকমের পাত রিভেটের মাধ্যমে জোড়া দেয়া হয়। এছাড়া কলমের নিপ, মোবাইলের কেচিং সহ বিভিন্ন প্লাষ্টিক সমগ্রী রিজেটের মাধ্যমে জোড়া দেয়া হয়। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
নিম্নোক্ত চিত্রের মত রিভেট ড্রইং করার জন্য আমাদেরকে ড্রইং কাগজ, পেন্সিল, বোর্ড, ইরেজার ইত্যাদি সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে।
রাইট, লেফট, টপ অথবা সাইড প্লেনে অংকনের জন্য প্রথমে টপ ভিউ অংকন করো।
চিত্র অনুযায়ী টপ ভিউতে একটি সার্কেল অংকন করো।
সার্কেল টির ব্যাস ১০ মিমি নাও ।
১০০ সিমি লম্বা নাও ।
অবজেক্টের মাথায় একটি হাফ রাউন্ড সার্কেল নিয়ে চিত্রের মতন করে অংকন করো।
রিজেটের নিচের দিকের যে সারফেস আছে সেখানে একটি সার্কেল নিয়ে, তাতে চিত্রের মতন একটি হোল করো ।
২.২ পুলিঃ পুলি একটি সাধারণ যান্ত্রিক বন্ধনী বা ব্যবস্থা যা বেল্টের মাধ্যমে গতি স্থানান্তর করতে সহায়তা করে। যে ব্যবস্থায় বেল্টের মাধ্যমে যান্ত্রিক শক্তি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয় তাকে গুলি বলে। চাল ভাঙা মেশিন, ট্রলার ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা পুলির ব্যবহার দেখতে পাই ।
পুলির প্রকারভেদঃ
সলিড পুলি
সলিড পুলির একটি বাহুতে একই ব্যাসের একাধিক অথবা একটি খাঁজ থাকে। আর এই খাঁজকে কেন্দ্র করে শক্তি এক শ্যাফট থেকে অন্য শ্যাফটে পরিবহন হয়ে থাকে। শ্যাফট বলতে আমরা একটি লম্বা ধাতব দণ্ডকে বুঝি। যেই দন্ডটি ঘূর্ণনের মাধ্যমে শক্তি পরিবহন করতে সহয়তা করে থাকে।
স্টেপড পুলিঃ
স্টেপড গুলির একটি বাহুতে বিভিন্ন ব্যাসের বেশ কয়েকটি পুলি থাকে। এটি এমনভাবে সাজানো থাকে যাতে এটি একটি ধাপের মতো দেখায়, তাই পুলিটির নামকরণ করা হয়েছে স্টেপড পুলি।
পুলি ডইং করার কৌশলঃ
নিম্মোক্ত চিত্রের মত পুলির ড্রইং করার জন্য আমাদেরকে ড্রইং কাগজ, পেন্সিল, বোর্ড, ইরেজার ইত্যাদি সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে।
চিত্রানুসারে প্রয়োজনীয় ডায়ামেটার যেমন ১৩০মিমি, ১২০মিমি ইত্যাদি দিয়ে টপ ভিউ অংকন করো। সঠিক পরিমাপ দিয়ে প্যারালাল বার ও টা স্কোয়ার ব্যবহার করে ফ্রন্ট ভিউ অংকন করো।
তৰে চিত্র আঁকার সময় মনে রাখতে হবে যে, কাজের শুরুতে যে প্লেনে কাজ শুরু করা হবে, সেই প্লেনেই সকল প্রকার রেফারেন্স প্লেন নিতে হবে এবং কাজটি ২ডিতে সম্পন্ন করতে হবে
কাপলিং এমন একটি যন্ত্র যা শক্তি প্রেরণের উদ্দেশ্যে দুটি ঘূর্ণায়মান অংশ/শ্যাফটকে তাদের প্রান্তে একত্রে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। কাপলিংএর উদ্দেশ্য হল সরঞ্জামের দুটি টুকরোকে এমনভাবে জোড়া দেওয়া যাতে এরা কিছু ডিগ্রী মিসলাইনমেন্ট বা নড়াচড়া করতে পারে।
মাফ কাপলিং
মাফ কাপলিং হল এক ধরনের অনমনীয় কাপলিং, যা ঢালাই লোহা দিয়ে তৈরি। এটি খাদের মতো একই অভ্যন্তরীণ ব্যাস সহ একটি ফাঁপা সিলিন্ডার দিয়ে তৈরি। দুটি শ্যাক্টের প্রান্তে এটিকে ফিট করার জন্য একটি কম্পোজড চাবি ব্যবহার করা হয়। একটি চাবি এবং হাতার সাহায্যে এক শ্যাফট থেকে অন্য শ্যাফটে শক্তির সঞ্চালন হয়।
ফ্লাঞ্জ কাপলিং
কোনো প্রাইম মুভার ও জেনারেটর শ্যাফট দুইটির মধ্যবর্তী স্থানে ধাতব, রাবার, ফাইবার ইত্যাদি পাত সংযোগের সময় নাট-বোল্টের সমন্বয়ে ফ্লেঞ্জ কাপলিং তৈরী করা হয়। সাধারণত ছোট বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের ইউনিটে ফ্লেঞ্জ কাপলিং ব্যবহার করা হয়।
একই ধাতুর তৈরি দুটি অংশ বা দুটি ধাতব/অধাতব বস্তুকে গলিত বা অর্ধগলিত অবস্থায় চাপ প্রয়োগে বা বিনা চাপে স্থায়ীভাবে জোড়া দেওয়ার পদ্ধতিকে ওয়েল্ডিং বলে।
ওয়েল্ডিং এর শ্রেণীবিভাগঃ
ওয়েল্ডিং পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ
১। ফিউশন ওয়েল্ডিং
২। নন-ফিউশন ওয়েল্ডিং
১। ফিউশন ওয়েল্ডিং
যখন দুইটি ধাতব খন্ডকে গলন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করে গলিত অবস্থায় কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়া জোড়া দেওয়া হয় তাকে ফিউশন ওয়েল্ডিং বলে। এই পদ্ধতিতে ফিলার মেটাল ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ আর্ক ওয়েল্ডিং, গ্যাস ওয়েল্ডিং।
ক) আর্ক ওয়েল্ডিং ওয়েল্ডিং এর যে পদ্ধতিতে ইলেকট্রোড এবং কার্য বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক আর্ক সৃষ্টি করে উৎপন্ন তাপের সাহায্যে বস্তু কে পূর্ণ গলিত অবস্থায় এনে জোড়া দেওয়া হয় তাকে আর্ক ওয়েল্ডিং বলে।
ল্যাপ জয়েন্টঃ
ল্যাপ জয়েন্ট হল এমন একটি জয়েন্ট যেখানে জোড়স্থান একে অপরের উপরে ওভারল্যাপিং অবস্থায় থাকে । মানে এটি ধাতব পাত বা অধাতব পাত একত্রিত করে জোড়া দেয়া হলে তাকে ল্যাপ জয়েন্ট বলে।
বাট জয়েন্টঃ
বাট জয়েন্ট হল এমন একটি জয়েন্ট যেখানে জোড়স্থান প্রান্তগুলিকে একসাথে রেখে দুটি টুকরো উপাদান যুক্ত করা হয়। এরপর ওয়েল্ডিং করা হয়ে থাকে ।
খ) গ্যাস ওয়েল্ডিং দুইটি গ্যাসের জ্বলন্ত মিশ্রন হইতে সরবরাহকৃত উত্তাপের মাধ্যমে যে ওয়েল্ডিং করা হয় তাহাকে গ্যাস ওয়েল্ডিং বলে। গ্যাস ওয়েল্ডিংএ Oxygen এর সাথে যেকোন একটি অন্য গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২। নন-ফিউশন ওয়েল্ডিং
যখন দুইটি ধাতব খন্ডকে গলন তাপমাত্রার নীচে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত করে অর্ধগলিত অবস্থায় চাপ প্রয়োগে জোড়া দেওয়া হয় তাকে নন ফিউশন ওয়েল্ডিং বলে। যেমনঃ ফোর্জ ওয়েল্ডিং, রেজিষ্টেন্স ওয়েল্ডিং ইত্যাদি।
সুবিধা সমূহ (Advantage)
১) একটি সুন্দর ও নিখুঁত ওয়েল্ডিং জোড়া মূল ধাতুর মত বা তার চাইতে শক্ত হতে পারে।
২) সাধারনত ওয়েল্ডিং পদ্ধতির সরঞ্জামাদি তেমন ব্যয়বহুল নয়।
৩) ওয়েল্ডিং পদ্ধতির সরঞ্জামগুলি স্থানান্তরযোগ্য।
৪) যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের জটিল গঠনে জোড়ার কাজ সম্পাদন করা যায় যা হয়ত অন্য পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।
৫) নিশ্ছিদ্র জোড়া দেওয়া সম্ভব যা অন্য পদ্ধতিতে দেওয়া সম্ভব নয়।
অসুবিধা সমূহ (Disadvantage)
১) ওয়েল্ডিং পদ্ধতি ক্ষতিকারক আলোক বিকিরণ করে।
২) ওয়েল্ডিং পদ্ধতির জোড়া স্থান অমসৃণ হয়।
৩) উত্তম সতর্কতা এবং দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হয়।
৪) শারীরিক ও পরিবেশের ক্ষতি করে।
৫) শুধুমাত্র ওয়েল্ডেবল মেটেরিয়ালস এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
প্লাম্বিং
প্লাম্বিং বলতে কোনো ভবনের পাইপ ফিটিংস এবং অন্যান্য সাজ-সরঞ্জামের সাহায্যে পানি বা অন্য কোনো তরল পদার্থ সরবরাহ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বুঝায়। এক কথায় বলতে গেলে বুঝায় যে, পানি বা অন্য কোনো তরল সরবরাহ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য পাইস, ফিক্সার, ফিটিংস এবং অন্যান্য সাজ-সরঞ্জাম স্থাপনের বা রক্ষনাবেক্ষন করার কলা কৌশলই প্লাম্বিং।
প্লাম্বার ঃযে ব্যক্তি প্লাম্বিং এর কাজ করে থাকেন তাকে প্লাম্বার বলে
পাইপ ফিটিংসঃ
পাইপ লাইনে পাইপ সংযোজন, পাইপ লাইনের দিক পরিবর্তন, প্রধান পাইপ লাইন হতে শাখা লাইন বের করা, বড় আকারের পাইপের সঙ্গে ছোট আকারের পাইপের সংযোজন বা বিয়োজন ইত্যাদি করতে যে সাজ-সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় এ সরজ্ঞামগুলোই পাইপ ফিটিংস নামে পরিচিত।
পাইপ ফিটিংস ড্রইং করার কৌশলঃ প্রথমে আমরা সাধারন একটি পাইপের ড্রইং করবো। নিম্নোক্ত চিত্রের মত ড্রইং করার জন্য আমাদেরকে ড্রইং কাগজ, পেন্সিল, বোর্ড, ইরেজার ইত্যাদি সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে।
পুর্বের ন্যায় ফ্রন্ট ভিউ ও সাইড ভিউ অংকন করি। প্রয়োজনীয় ডাইমেনশন প্রয়োগ করে নিম্মোক্ত ড্রইংটি অংকন কর।
পাইপ ফিটিংস এর প্রয়োজনীয়তাঃ
ক) পাইপ লাইনে পাইপকে সংযোজন করার জন্য ।
(খ) পাইপ লাইনের দিক পরিবর্তন করার জন্য।
(গ) প্রধান পাইপ লাইন হতে বিভিন্ন শাখা লাইন বের করার জন্য ।
(ঘ) বড় ব্যাসের পাইপের সংগে ছোট ব্যাসের পাইপের সংযোগ করার জন্য ।
(ঙ) ছোট ব্যাসের পাইপের সংগে বড় ব্যাসের পাইপের সংযোগ করার জন্য।
(চ) পাইপ লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
(ছ) পাইপ লাইনে বিভিন্ন প্রকার ফিচার বসানোর জন্য।
(জ) পাইপ লাইনে প্রবাহমান তরল বা গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
ওয়ার্কিং ড্রইং সম্পর্কে ধারনা
ওয়ার্কিং ড্রইং কিঃ ওয়ার্কিং ড্রইং হলো একটি পণ্যের তৈরিকৃত রেফারেন্স বা নির্দেশিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রধান লক্ষণীয় বিষয়ঃ ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রধান লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে কাজটি নিখুত পরিমাপ সম্পূর্ণ হবে। যেহেতু ওয়ার্কিং ড্রইং ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায় সেহেতু কাজটি সাবধানতা অবলম্বন করে সম্পর্ণ করতে হবে।
ওয়ার্কিং ড্রইং এর ব্যবহারঃ এটি প্রায়শই প্রকৌশল ও স্থাপত্যকে নির্দেশ করে তবে কাজের অংকন গুলি নির্মাণের বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। এই অংকন গুলি শিল্পের মান অনুযায়ী গঠিত হয়। যাতে সমস্ত তথ্য সহজে এবং পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায়।
ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রধান লক্ষণীয় বিষয়ঃ ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রধান লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যন্ত্রাংশ নিখুতভাবে উৎপাদনের জন্য সকল পরিমাপ এবং চিত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। যেহেতু ওয়ার্কিং ড্রইং ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায় সেহেতু কাজটি যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা সহজ হয় ।
ওয়ার্কিং ড্রইং এর ব্যবহারঃ এটি প্রয়শই প্রকৌশল ও স্থাপত্যকে নির্দেশ করে তবে কাজের অংকন গুলি নির্মাণের বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। এই অংকন গুলি শিল্পের মান অনুযায়ী গঠিত হয়। যাতে সমস্ত তথ্য সহজে এবং পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায়।
ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রয়োজনীয়তাঃ ওয়ার্কিং ড্রইং এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। এটি দ্বারা যে কোন বস্তুর বিভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি দেখা যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন পরিমাপ ইত্যাদি পাওয়া যায়। করিগর বা মেশিন অপারেটর বস্তু তৈরির সময় ওয়ার্কিং ড্রইং ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। ড্রইং কে এক ধরণের ভাষা বলাই ভাল। দুজন মানুষ যেমন উভয়ের পরিচিত ভাষার মাধ্যমে সহজে ভাবের আদান প্রদান করে, দুজন প্রকৌশলীও (তিনি যে ভাষার, যে দেশেরই হন না কেন) "ড্রইং" ভাষার মাধ্যমে তাদের কাজের তথ্যের আদান প্রদান করতে পারেন। প্রকৌশল বিদ্যায় যুগযুগে "ড্রইং" একমাত্র ও সার্বজনীন ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ভাব প্রকাশের ভাষার মতো ‘ড্রইং’ নির্মাণশৈলীর তথ্য সরবরাহ ও বক্তব্য উপস্থাপনের ভাষা । একজন প্রকৌশলী সেই ভাষাতেই তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাই নিজেকে প্রকৌশলী হিসেবে তৈরি করতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর এই ভাষাটি (ড্রয়িং) ভালভাবে রপ্ত করতে হয়। এই ভাষাতে যিনি যত ভাল হবেন, প্রকৌশলী হিসেবে তার বক্তব্য তত স্পষ্ট হবে ও তিনি সবার মাঝে উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন।
কোন বস্তু (Object) সম্পর্কে সঠিকভাবে বোঝা বা সেটিকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য প্রথমেই দরকার ঐ বস্তুর গঠন, পরিমাপ ও উপাদান সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা। ড্রয়িং এর মাধ্যমে কোন বস্তুকে তুলে ধরা হলে সেটিকে ওই বস্তুর ডিজাইন বলা হয়।
কর্মক্ষেত্রে যেকোনো মেশিন স্থাপন, দালান তৈরি, অন্যান্য স্থাপনা তৈরি, ইত্যাদি কাজে, সকল ধরনের প্রয়োজন ও অবকাঠামো বিবেচনা করে প্রথমে তৈরি করা দরকার হয় ড্রইং ডিজাইন। এই ড্রইং করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে প্রয়োজনীয় সকল বস্তুর সব ধরণের পরিমাপ, স্থাপনের জন্য কি ধরনের বা কতটুকু অবকাঠামো প্রয়োজন, ইত্যাদি। ড্রয়িং এর মাধ্যমে ক্রমশ পরিকল্পনাটি পরিপক্ব হয়ে বাস্তবের কাছাকাছি চলে আসে। ডিজাইনে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা ছাড়াও অন্যান্য প্রকৌশলীর পক্ষে সেটি নিরীক্ষণ করা সহজ হয়। এর পর সেই ড্রয়িং এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করে থাকে।
পৃথিবীর সকল ভাষার যেমন নিজস্ব নিয়মকানুন বা ব্যাকরণ রয়েছে, ড্রয়িং ভাষারও তেমন নিয়ম কানুন ব্যাকরণ রয়েছে। এসকল নিয়মকানুন ভালভাবে রপ্ত করার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন দরকার।
প্রসঙ্গত আসে কম্পিউটার এইডেড ড্রয়িং এর কথা। বর্তমান সময়ে ড্রইং সহজ করার জন্য কম্পিউটার এইডেড ড্রয়িং এর প্রচলন হয়েছে। এখন কম্পিউটারের কল্যাণে প্রকৌশলীদের জীবন অনেক সহজ হয়েছে। একজন প্রকৌশলী আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে অনেক নিখুঁত ভাবে অনেক বেশি ডিজাইন করতে পারেন। বিশেষকরে সংশোধন, পরিবর্ধন, পরিমার্জনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান অসাধারণ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কম্পিউটার শুধু ড্রয়িং কে সহজ করার জন্য, পুরো কাজটি করে দেবার জন্য নয়। যিনি ড্রয়িং ভাল জানেন, কম্পিউটার শুধু তার কাজকে সহজ করে। যিনি ড্রইং ভালোমতো জানেন না, কম্পিউটার তাকে বিশেষ সাহায্য করতে পারবে না। তাই ভাল প্রকৌশলী হবার জন্য হাতে কলমে ড্রইং শিখতে মনোযোগী হতে হবে। পাশাপাশি কম্পিউটারে সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ড্রইং করার কলা কৌশল আয়ত্ব করতে হবে।
১) অ্যাসেম্বলী ড্রইং কিঃ বড় কোন যন্ত্র এর ডিজাইন করার সময় একত্রে ডিজাইন করা সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে পার্ট পার্ট আলাদা আলাদা ড্রইং করতে হয়। তারপরে সকল পার্ট একত্রে ড্রইং এর মাধ্যমে জোড়া দেয়া হয়ে থাকে। একে এসেম্বলী ড্রইং বলে। এই এসেম্বলী ড্রইং কম্পিউটার সফটওয়ারের মাধ্যমেই খুব সহজেই করা সম্ভব। তবে কাগজ কলমেও এসেম্বলী ড্রইং করা যায়। বর্তমানে ডিজিটাল বা আধুনিক যুগে এসেম্বলী ড্রইং শুধু মাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমেই করা হয়।
২) এসেম্বলী ড্রইং এর প্রয়োজনীয়তাঃ এর প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। এটি দ্বারা একটি চিত্র এবং ড্রইং এর বিস্তারিত ধারনা পাওয়া যায়। তাছাড়া এসেম্বলী ড্রইং ছাড়া কোন বৃহৎ যন্ত্রাংশর ডিজাইন করা অসম্ভব। যেমন ধরা যাক একটা মটর সাইকেলের ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি একটি মাত্র ডিজাইন দ্বারা মোটর সাইকেল ড্রইং করা হয় সেক্ষেত্রে তা কেবল মাত্র একটি চিত্রে রূপ নেবে। তাই এখানে ডিজাইনাররা প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা ডিজাইন করে থাকেন। তারপরে সকল অংশ একত্রে জুড়ে দিয়ে একটি পূনাঙ্গ মোটর সাইকেলে ড্রইং আকারে রুপ প্রদান করেন। তারপরে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা ফ্যাক্টরিতে আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করে থাকেন।
৩) ডিটেইলস ড্রইং এর বিবরনঃ ডিটেইলস ড্রইং হলো এমন একটি ড্রইং যা একক উপাদান সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে এতে অবজেক্টের শীর্ষে সামনে এবং পার্শ্ব একটি অভিক্ষেপ দৃশ্য অর্ন্তভুক্ত থাকে।
৪) ডিটেইল ড্রইং এর প্রয়োজনীয়তাঃ ডিটেইল ড্রইং এর প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। এটি দ্বারা একটি চিত্র এর বিস্তারিত ধারনা পাওয়া যায়। ডিটেইল ড্রইং এ অবজেক্টের শীর্ষে,সামনে এবং পার্শ্বে একটি অভিক্ষেপ দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে বিধায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ।
১) ল্যাপ জয়েন্টঃ ল্যাপ জয়েন্ট হল এমন একটি জয়েন্ট যেখানে জোড়স্থান একে অপরের উপরে ওভারল্যাপিং অবস্থায় থাকে। মানে যে জয়েন্ট পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক, ধাতব বা অধাতব পাতকে একটির উপরে অন্যটি রেখে জোড়া দেয়া হয় তাকে ন্যাপ জয়েন্ট পদ্ধতি বলে।
২) বাট জয়েন্টঃ বাট জয়েন্ট হল এমন একটি জয়েন্ট যেখানে জোড়স্থান প্রাপ্তগুলিকে একসাথে রেখে দুটি টুকরো উপাদান যুক্ত করা হয়। মানে দুটি ধাতব পাতকে পাশাপাশি রেখে জোড়া দেয়াকে বাট জয়েন্ট বলে। নিম্নে একটি বাট জয়েন্টের চিত্র সহ বিভিন্ন অংশের নাম দেয়া হলো। এখানে প্যারেন্ট মেটাল মানে মূল ধাতুকে বুঝায়। মানে মূল ধাতুকে প্যারেন্ট মেটাল, গলিত বা ওয়েল্ডিং করা ধাতুকে ওয়েন্ডিং মেটাল বলে।
৩) রিভেট জয়েন্টঃ রিভেট হল এক ধরনের ধাতব রড বা দণ্ড, একাধিক বস্তুর সংযোগস্থল জোড়া দিতে ব্যবহার করা হয়। যার শীর্ষে রয়েছে একটি বিশেষ মাথা, যা সাধারণত গোলাকার হয় (তবে বিভিন্ন আকারেও তৈরি করা যায়)। এটি সাধারন পাতলা শীট মেটাল জোড়া দেবার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৪) রিডেট জয়েন্ট ব্যবহারঃ রিভেট জয়েন্ট একটি পুরাতন পদ্ধতি। তথাপি বিশেষ বিশেষ জায়গায় রিডেটিং খুবই গুরুত্বকপুর্ন। রিভেটিং পাতলা শীট মেটালে বেশি প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া ভারী শিল্পে যেমন ব্রীজ, ওয়াগন, জাহাজ নির্মানে রিভেটের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে সকল জায়গায় ওয়েন্ডিং করা যায়না মূলত সে সকল জায়গায় রিভেটিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১) সলিড পুলিঃ পুলি একটি সাধারণ যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা দড়ি বা বেল্টের মাধ্যমে গতি স্থানান্তর করতে সহায়তা করে। মানে যে বেল্ট বা দড়ির মাধ্যমে শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয়, তাকে গুলি বলে । যে সকল পুলির একটি বাহুতে একই ব্যাসের একাধিক অথবা একটি খাজ থাকে তাকে বা সে সকল পুলিকে সলিড পুলি বলে।
২) স্টেপড পুলিঃ স্টেপ পুলির একটি বাহুতে বিভিন্ন ব্যাসের বেশ কয়েকটি পুলি থাকে। এটি এমনভাবে সাজানো থাকে যাতে এটি একটি ধাপের মতো দেখায, তাই পুলিটির নাম একটি স্টেপ পুলি।
৩) ফ্লাঞ্জ কাপলিং কিঃ কোনো প্রাইম মুভার ও জেনারেটর শ্যাফট দুইটির মধ্যবর্তী স্থানে ধাতব, রাবার, ফাইবার ইত্যাদি পাত সংযোগের সময নাট-বোল্টের সমন্বযে ফ্লাঞ্জ কাপলিং তৈরী করা হয়। সাধারণত ছোট বা কম ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের ইউনিটে ফ্লেঞ্জ কাপলিং ব্যবহার করা হয়।
৪) মাফ কাপলিং কিঃ মাফ কাপলিং হল এক ধরনের অনমনীয কাপলিং, যা ঢালাই লোহা দিয়ে তৈরি। এটি খাদের মতো একই অভ্যন্তরীণ ব্যাস সহ একটি ফাঁপা সিলিন্ডার দিয়ে তৈরি। দুটি শ্যাষ্টের প্রান্তে এটিকে ফিট করার জন্য একটি সমাহিত চাবি ব্যবহার করা হয়। একটি চাবি এবং হাতার সাহায্যে এক শ্যাফ্ট থেকে অন্য শ্যাফটে শক্তির সঞ্চালন হয়।
ওয়েল্ডিং কিঃ আমেরা পূর্বেই জেনেছি যে, একই ধাতুর তৈরি দুটি অংশ বা দুটি বস্তুকে গলিত বা অর্ধগলিত অবস্থায় চাপ প্রয়োগে বা বিনা চাপে স্থাযীভাবে জোড়া দেওয়ার পদ্ধতিকে ওয়েল্ডিং বলে।
ওয়েল্ডিং এর শ্রেণীবিভাগঃ
ওয়েল্ডিং পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকারঃ
১. ফিউশন ওয়েল্ডিং
২. নন ফিউশন ওয়েল্ডিং
ফিউশন ওয়েল্ডিং কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. গ্যাস ওয়েল্ডিং
২. আর্ক ওয়েল্ডিং
ফিউশন ওয়েন্ডিং :
যখন দুইটি ধাতব পশুকে গলন তাপমাত্রার উত্তপ্ত করে গলিত অবস্থায় কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়া জোড়া দেওয়া হয় তাকে ফিউশন ওয়েল্ডিং বলে। এই পদ্ধতিতে ফিলার মেটাল ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ গ্যাস ওয়েল্ডিং, আর্ক ওয়েন্ডিং ইত্যাদি।
নন ফিউশন ওয়েল্ডিং
যখন দুইটি ধাতব খন্ডকে গলন তাপমাত্রার নীচে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত করে অর্ধগলিত অবস্থায় চাপ প্রয়োগে জোড়া দেওয়া হয় তাকে নন ফিউশন ওয়েল্ডিং বলে। যেমনঃ ফোর্স ওয়েল্ডিং, রেজিষ্টেন্স ওয়েন্ডিং ইত্যাদি।
আর্ক ওয়েল্ডিং
ওয়েল্ডিং এর যে পদ্ধতিতে ইলেকট্রোড এবং কার্য বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক আর্ক সৃষ্টি করে উৎপন্ন তাপের সাহায্যে বস্তু কে পূর্ণ গলিত অবস্থায় এনে জোছা দেওয়া হয় তাকে জার্ক ওয়েল্ডিং বলে।
গ্যাস ওয়েল্ডিং
দুইটি গ্যাসের জ্বলন্ত মিশ্রন হইতে সরবরাহকৃত উত্তাপের মাধ্যমে যে ওয়েন্ডিং করা হয় তাহাকে গ্যাস ওয়েন্ডিং বলে।
নিম্নে ওয়েন্ডিং জোড়ার কিছু প্রতীক বা সিম্বল দেয়া হলো।
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
8. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী রিভেট জোড়ার সকল কাঁচামাল সংগ্রহ করা।
৭. ড্রইং এর সাইজ অনুযায়ী ছোঠ ছোট পাইপ মেটাল সংগ্রহ করা।
৮. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
৯. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১০. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE)
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Instruments) ও মালামাল
কাজের ধাপ (Working Procedure)
সতর্কতা (Precausion)
অর্জিত দক্ষতাঃ রিভেট ও রিভেট জোড়া অংকন করার দক্ষতা অর্জন করা।
অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
কাজের ধাপ (Working Procedure)
প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করব।
সতর্কতা (Precausion)
অর্জিত দক্ষতাঃ পুলি অংকন করার দক্ষতা অর্জন ।
অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত ড্রইং টেবিল তৈরি করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী কাপলিং জোড়ার সকল কাঁচামাল সংগ্রহ করা।
৭. ড্রইং এর সাইজ অনুযায়ী ছোঠ ছোট সলিড মেটাল সংগ্রহ করা।
৮. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
৯. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১০. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE)
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল (Required Instruments)
কাজের ধাপ (Working Procedure )
সতর্কতা (Precausion)
অর্জিত দক্ষতাঃ কাপলিং তৈরি করার দক্ষতা অর্জন ।
অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে ২ ডি তৈরি করা;
৬. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
৭. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
৮. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE)
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Instruments)
প্রয়োজনীয় মালামাল (Required Materials)
কাজের ধাপ (Working Procedure)
সতর্কতা (Precausion)
অর্জিত দক্ষতাঃ ডিটেইল ড্রইং করার দক্ষতা অর্জন।
অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে ২ ডি তৈরি করা;
৬. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
৭. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
৮. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE)
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Instruments)
কাজের ধাপ (Working Procedure)
সতর্কতা (Precausion)
অর্জিত দক্ষতাঃ অ্যাসেম্বেলি ড্রইং করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে।
অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।
আরও দেখুন...